
২৪ই ফেব্রুয়ারী দুপুর আনু: ১.১৫ ঘটিকায় সাজেক পর্যটন এলাকায় সাজেক অবকাশ ম্যানুয়েল রিসোর্ট সহ পার্শ্ববর্তী রিসোর্টে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে মর্মে ধারণা করা হয়। আগুন মুহুর্তেই আশেপাশে ছড়িয়ে পড়ে।
সাজেকে পু ড়ে যাওয়া ৪১টি রিসোর্ট-কটেজ-রেস্তোরার নাম জানা গেছে। সেগুলো হলো, ছায়ানীড়, তরুছায়া, সাজেক ইকো রিসোর্ট, আত্রিকা, মেঘবাতায়ন, মেঘের ঘর, অধরা, মর্নিং স্টার, শালকা, রিমি ইকো কটেজ, মুননাইট, মাচাং ঘর, মেঘলা আকাশ, সানসিটা, বিকাশ বিলাস, পাহাড়পুঞ্জি, মাদল, ইকোবিহান, সাইরু, সালকা, মেঘবতী, ইকোভ্যালী, অবকাশ, মেঘছুট, টিজিবি লুসাই, নীল পাহাড়, টংঠং, মেঘজ্যোৎস্না, অধরা, মেডভেঞ্চার, শৈলকুটির, ফদাংথাং ছাউনি, শাল্কাও চাঁদের বাড়ী কটেজ। রেস্তোরা আর টি স্টলগুলো হলো চিলেকোঠা, মেঘপাই, পেদাটিংটিং, সিস্বল, মনটানা, মারুয়া ডি রেস্তোরা ও কফিডোর টি স্টল।
ঘটনা জানার সাথে সাথে আগুন নির্বাপনের জন্য রাঙ্গামাটি ও খাগড়াছড়ি জেলার ফায়ার সার্ভিসসহ স্থানীয়দের সাথে যোগাযোগের পাশাপাশি সেনাবাহিনীর রিজিয়ন কমান্ডার, রাঙ্গামাটি, রিজিয়ন কমান্ডার, খাগড়াছড়ি, জোন কমান্ডার, বাগাইহাট এবং খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক মহোদয় এর সাথে যোগাযোগক্রমে করে বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত আগুনে প্রায় ১২০/১৪০ টির বেশি রিসোর্ট, ঘরবাড়ি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আগুনে পুড়ে গেছে মর্মে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও স্থানীয়দের নিকট হতে জানা গেছে। তবে হতাহতের কোন খবর পাওয়া যায়নি।
আগুন নিয়ন্ত্রনের জন্য কাজ করেন দীঘিনালা উপজেলার ফায়ার সার্ভিস ইউনিট, খাগড়াছড়ির ফায়ার সার্ভিস ইউনিটও এর সাথে যোগ দেয়। উপজেলা প্রশাসন, স্থানীয় সেনাবাহিনী, সাজেক থানা পুলিশ, সাজেক ইউনিয়ন পরিষদ, স্থানীয় জনসাধারণ আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। সেনাবাহিনী সূত্রে জানা গেছে সাজেকে আগুন নিয়ন্ত্রণে এয়ারফোর্সের ০২ টি হেলিকপ্টার move করার জন্য প্রস্তত কর হলেও আগুন নিয়ন্ত্রনে আসায় এবং সন্ধ্যা নেমে আসায় তা স্থগিত করা হয়েছে।