আন্তর্জাতিক ডেস্ক-
ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ বন্ধে নতুন প্রস্তাব তৈরি করেছে কাতার ও মিসর। খবর বিবিসির।
এই প্রস্তাব এমন এক সময়ে এল, যখন মাত্র কয়েক দিন আগে যুদ্ধবিরতি সংক্রান্ত ইসরায়েলি প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে হামাস। ইসরায়েলের প্রস্তাবে ছয় সপ্তাহের যুদ্ধবিরতির বিনিময়ে হামাসকে নিরস্ত্র হওয়ার দাবি জানানো হয়েছিল। গত শনিবার ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু আবারও হুঁশিয়ারি দেন, হামাস ধ্বংস না হওয়া এবং সব জিম্মিকে মুক্ত না করা পর্যন্ত তিনি যুদ্ধ শেষ করবেন না। এদিকে, হামাস বলেছে, জিম্মি মুক্তির আগে ইসরায়েলকে যুদ্ধ শেষের অঙ্গীকার করতে হবে।

আলোচনার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ এক ফিলিস্তিনি কর্মকর্তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, নতুন এই প্রস্তাব কার্যকর হলে হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি থাকবে পাঁচ থেকে সাত বছর। এ সময়ে জিম্মিদের মুক্তি দেবে হামাস, বিনিময়ে ইসরায়েলের কারাগারে বন্দী ফিলিস্তিনিদের মুক্তি দেবে নেতানিয়াহুর প্রশাসন। এই চুক্তির আওতায় গাজা থেকে ইসরায়েলি সেনা পুরোপুরি প্রত্যাহার করা হবে।

এরই মধ্যে আলোচনার জন্য হামাসের শীর্ষস্থানীয় একটি প্রতিনিধি দলের কায়রোতে পৌঁছানোর কথা। জানা গেছে, হামাসের রাজনৈতিক শাখার প্রধান মোহাম্মদ দারবিশ এবং প্রধান আলোচক খালিল আল হাইয়া এই আলোচনায় থাকবেন। তবে, নতুন এই প্রস্তাব সম্পর্কে এখনো কোনো মন্তব্য করেনি ইসরায়েল।
সেই কর্মকর্তা বিবিসিকে জানায়, হামাস ইঙ্গিত দিয়েছে গাজা শাসনের দায়িত্ব তারা এমন কোনো ফিলিস্তিনি সংস্থার কাছে হস্তান্তর করতে প্রস্তুত, যে জাতীয় ও আঞ্চলিক স্তরে ঐকমত্য রয়েছে। তিনি জানান, এই সংস্থা হতে পারে পশ্চিম তীরভিত্তিক ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ পিএ বা নতুন করে গঠন করা কোনো প্রশাসনিক কাঠামো। ০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাস ইসরায়েলে হামলা চালায়। এর জবাবে ইসরায়েল গাজায় ব্যাপক সামরিক অভিযান শুরু করে। এখন পর্যন্ত এ অভিযানে অন্তত ৫১ হাজার ২৪০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে- যাদের বেশিরভাগই বেসামরিক নাগরিক।